আন্তর্জাতিক নক্শবন্দি উৎসব ২০২২
(৭ দিন ৬ রাত)
আয়োজনেঃ বিশ্ব সুফী কেন্দ্র
সহযোগিতায়ঃ বুখারার খোকিমাইয়াত এলাকা
ঢাকা-তাসখন্দ-সমরখন্দ-বুখারা- তাসখন্দ- ঢাকা
সকল অংশগ্রহনকারীদেরকে তাসখন্দ বিমানবন্দর এ গ্রহন করা হবে এবং তাদের পছন্দ করা হোটেলে পাঠানো হবে এবং উৎসব হোটেলে ১ম দিন দুপুর ১২:০০মি এ নিয়ে যাওয়া হবে। যদি ১ম দিন দুপুর ১২:০০মি এর আগে পৌঁছান, তাহলে ১ম দিন দুপুর ১২:০০মি এর আগ পর্যন্ত খরচ অংশগ্রহনকারীকে বহন করতে হবে।
১ম দিন ঢাকা-তাসখন্দ
ঢাকা থেকে তাসখন্দে আগমন।
দুপুরের খাবার এর পর তাসখন্দ শহর ভ্রমন। পুরোনো শহরের অংশবিশেষ ঘুরে দেখা যেমন খাস্ত- ইমাম কমপ্লেক্স যেখানে বিশ্বখ্যাত খলিফা উসমান রা. এর কোরআন শরীফ অটোম্যানরা সংরক্ষন করে রেখেছেন। খাস্ত- ইমাম এ বারাক খানের মাদ্রাসা, তিল্লা শাইখ মসজিদ, সাধক আবু বকর কাফফাল শশী র. এর মাজার এবং ইমাম আল বুখারী র. ইসলামিক ইন্সটিটিউট ঘুরে দেখা।
কার্যক্রমঃ পরিদর্শনের সময় সকল ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা এবং দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখার পর দি সেন্টার ফর ইসলামিক সিভিলাইজেশন এ স্থানীয় ক্বারি এবং দর্শকদের মধ্যে একটি ছোট্ট কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা।
স্থানীয় হোটেলে রাতের খাবার।
হোটেলে রাত্রিযাপন।
২য় দিন তাসখন্দ-সমরখন্দ
হোটেলে সকাল সকাল হাল্কা নাস্তা।
তাসখন্দ-সমরখন্দ হাই স্পীড ট্রেন “আফ্রোসিয়াব” TAS/SKD at 07:30/09:35 এ চড়ার জন্য ট্রেন ষ্টেশনের দিকে রওয়ানা।
ইমাম আল বুখারী র মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স পরিদর্শন।
স্থানীয় হোটেলে দুপুরের খাবার।
ইমাম মাতুরিদি র. কমপ্লেক্স পরিদর্শন -
ইমাম আল মাতুরিদি র. এর মাজার সমরখন্দের আরেকটি পবিত্র স্থান।
শাহী জিন্দা মাজার শরীফ পরিদর্শনঃ
শাহী জিন্দা (৯ম-১৪শ এবং ১৯শ শতাব্দি)- এই সমাধিস্থল উজবেকিস্তানের পবিত্রতম দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। বিশাল প্রবেশ ফটক এবং ৭০ মিটার দীর্ঘ সিঁড়িপথ আমাদেরকে নিয়ে যাবে প্রায় ২০ জনের সমাধীর সরু পথ বেয়ে। এখানে মধ্য এশিয়ার চকচকে সিরামিকের সুন্দরতম কাজগুলো দেখা যাবে।
রেগিস্তান স্কয়ার পরিদর্শনঃ
রাতের খাবার হোটেল/ রেস্টুরেন্টে
হোটেলে রাত্রিযাপন।
৩য় দিন সমরখন্দ-বুখারা
হোটেলে সকালের নাস্তা।
সমরখন্দ-বুখারা হাই স্পীড ট্রেন “আফ্রোসিয়াব” SKD/BHK at 09:40/11:20 (সমরখন্দ থেকে বুখারা ট্রেন) এ চড়ার জন্য ট্রেন ষ্টেশনের দিকে রওয়ানা।
বুখারায় পৌঁছান।
এবার বুখারার সূফী সাধকগনের জন্য ভ্রমন শুরু।
গাজদাওয়ান জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
গাজদাওয়ান- সাত বিশিষ্ঠ সাধকদের প্রথম জন আব্দুল খালেক গাজদাওয়ানি র. (১১০৩-১১৭৯) এর জন্মস্থান। তিনিই মাওয়ারা উন্নাহার এর স্বাধীন গুপ্ত বা রহস্যময় শিক্ষাকেন্দ্র খাজেগান (শিক্ষকদের পথ) এর উদ্ভাবক। আব্দুল খালেক গাজদাওয়ানি র. তাঁর আধ্যাত্মিক শিক্ষা দান করেন ইউসুফ আল হামাদানী র. কে, নিঃশব্দে গোপন জিকিরের প্রবর্তক এবং ৮টি নিয়মের প্রণয়নকারী, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় শিক্ষার মূল নীতি, খাজেগান তরিকার অন্তর্নিহিত ভিত্তির পথ প্রদর্শক।
উলুগবেগ মাদ্রাসা ঘুরে দেখা।
রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার।
খাজা আরেফ রেওগারী র. এর মাজার জিয়ারত বা সূফী খাজা আরিফ মহি তবন-মধ্য এশিয়ার একজনবিখ্যাত সূফী। খাজা আরেফ রেওগারী র. ছিলেন খাজেগানদের একজন বিশিষ্ঠ যোগ্য অনুসারী, আব্দুল খালেক গাজদাওয়ানি র. এর মুরিদ, যার চলে যাবার পর তিনই এর হাল ধরেন। তিনিই ছিলেন বুখারার সাত বিশিষ্ঠ সাধকদের দ্বিতীয় জন।
হজরত খাজা আজিজানে আলী রামেতিনি র. এর মাজার জিয়ারতঃ হজরত খাজা আজিজানে আলী রামেতিনি র.-খাজেগানদের ধারার একজন বিখ্যাত ও বিশিষ্ঠ সূফী সাধক,ততকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞা, উচ্চ আধ্যাত্মিক গুনের ও কারামতের অধিকারী ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও পবিত্রতার কারণে শায়েখগন তাঁকে “আজিজান” (সম্মানিত শায়েখ) নামে সম্বোধন করতেন। একটি বাক্যমালা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত চলে আসছে- মুখে মুখে এবং লিখিতভাবে যা হজরত খাজা আজিজানে আলী রামেতিনি র. এর থেকে পাওয়া। আর তা হোলঃ “দুইটি কাজের মাঝে সাবধান থাকো – যখন তুমি বলো আর যখন তুমি খাও।“
হজরত খাজা বাবা সাম্মাসি র. এর মাজার জিয়ারতঃ খাজা মোহাম্মদ বাবা সাম্মাসি র. – বিখ্যাত সূফী
সাধক, ঐতিহ্যবাহী খাজেগানদের একজন অনুগত পূরুষ
কল্যান মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায়।
হোটেলে/রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার।
নখশবন্দি কমপ্লেক্স এর কাছেই হোটেলে রাত্রিযাপন।
৪র্থ/৫ম দিন হযরত আমির কুলাল র. ও হযরত বাহাউদ্দিন নখশবন্দি র.
হোটেলে সকালের নাস্তা।
হযরত আমির কুলাল র. মাজার জিয়ারতঃ
হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নখশবন্দ র. এর মাজার জিয়ারতঃ
মধ্য এশিয়ার ১৬শ শতকের বৃহত্তম প্রতিনিধিত্তকারী সূফী সাধক ছিলেন। তাঁর নৈপুণ্যের কারণে তাঁকে “নখশবন্দ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় আর তাঁর সিলসিলাকে নখশবন্দি (যারা অন্তরে অন্তরে গোপনে আল্লাহর স্মরণ করে থাকে) নামে অভিহিত করা হয়।
নখশবন্দি তরিকার নিয়মানুযায়ী
-ঐচ্ছিক সেহরি
- নখশবন্দি মসজিদে ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়।
- জিকিরের মহফিল, জিকিরে জাহের
-শায়েখগনের বক্তৃতা
-খতমে কুরআন
- স্থানীয় বিশিষ্ঠ জনদের অঙ্কিত ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
- স্বাগত পানীয়ঃ উটের দুধ,তাজা রস, জাতীয় মিষ্টান্ন ও জলখাবার;
দুপুরের ও রাতের খাবার নখশবন্দি কমপ্লেক্স এর নিকটবর্তী হোটেলে।
হোটেলে রাত্রিযাপন।
৬ষ্ঠ দিন স্মরণ অনুষ্ঠান
৬৩৩ বছর পূর্বে (১৩৮৯) পর্দা করা হযরত বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নখশবন্দ র. এর উপর বিশেষ স্মরণ সভা।
দর্শকদের জন্য বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান এর আয়োজন নখশবন্দি কমপ্লেক্স এর পাশে (বিশেষভাবে নির্মিত উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেমসহ মঞ্চ) স্থানীয় গুনিজন, অধ্যাপক, ওলামা এবং অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটরদের উপস্থিতিতে।
- বিলিপত্র ও হস্তনির্মিত উপহার
৭ম দিন বুখারা-তাসখন্দ
হোটেলে সকালের নাস্তা।
বুখারা-তাসখন্দ হাই স্পীড ট্রেন “আফ্রোসিয়াব” BHK/TAS (বুখারা থেকে তাসখন্দ ট্রেন) এ চড়ার জন্য ট্রেন ষ্টেশনের দিকে রওয়ানা।
দুপুরের খাবার স্থানীয় হোটেলে।
প্রস্থান এর জন্য তাসখন্দ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এ স্থানান্তর।
পরিসেবাসহ ভ্রমন:
১। মূল্য- ইউ এস ডলার ৬৯০.০০
সম্পূর্ণ থাকা,খাওয়া, হোটেল,অভ্যন্তরীন ভ্রমণ, ১ম দিন দুপুর ১২ টা থেকে শুরু করে ৭ম দিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিমান বন্দর তক পৌঁছানো সহ।
২। পেমেন্ট ডিপোজিট ইউ এস ডলার ৫০.০০ - ১৫ই জুন ২০২২ এর মধ্যে। এটা ব্যাঙ্ক চার্জ বাদে ফেরতযোগ্য হবে যদি আয়োজকরা বাতিল করে। আর অফেরতযোগ্য হবে যদি অংশগ্রহণকারী বাতিল করেন।
৩। বাকী অর্থ ৩০ই জুন থেকে ৩০ই জুলাই ২০২২ এর মধ্যে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। আমরা শুধুমাত্র কোভিড ও অন্যান্য অবস্থা বিবেচনা করেই বাকী অর্থ সংগ্রহ করবো।
৪। হোটেলে থাকার ব্যবস্থা ডাবল/টুইন শেয়ারিং ভিত্তিতে।
৫। প্রতিদিন জনপ্রতি ১ টি ০.৫ লিটার মিনারেল পানি বিনা মূল্যে।
৬। খাবার (সম্পূর্ণ বোর্ড)
৬ টি বাফেট (খাবার ভর্তি টেবিল) সকালের নাস্তা আপনার হোটেলে
৭ টি দুপুরের খাবার
৬ টি রাতের খাবার
জলখাবার ও রস (জুস)।
( নোটিশঃ সকল পরিবেশিত খাদ্যসমূহ হালাল )
৭। ইংরেজী, আরবী, উর্দু, মালে, ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় ট্যুর গাইড সেবা।
৮। সকল দর্শনীয় স্থানসমূহ উপরোল্লিখিত হিসাবে।
৯। সকল স্থানান্তরসমূহ যথা বিমান বন্দর-হোটেল-বিমান বন্দর; ট্রেন স্টেশন-হোটেল- ট্রেন স্টেশন
১০। ভ্রমণসূচী অনুযায়ী সকল স্থানান্তরসমূহ বিলাসবহুল এসি কোচে।
১১। বুলেট ট্রেন টিকেট তাসখন্দ-সমরখন্দ, সমরখন্দ-বুখারা, বুখারা-তাসখন্দ
১২। প্রতিরাতের ট্যুরিষ্ট ফি ট্যাক্স
১৩। প্রতি অতিথির জন্য হাতে বানানো বিশেষ স্যুভেনির।
১৪। কফি ব্রেকসহ বিনামূল্যে সম্মেলন কক্ষ
১৫। জাতীয় লোককাহিনী গৌষ্টীর সাথে আনুষ্ঠানিক সভা
১৬। সম্মানিত মুফতীগনের সাথে বৈঠক
১৭। স্মৃতিস্তম্ভে ছবি তোলার জন্য অর্থ প্রদান
১৮। প্রতিদিন মেডিকেল মাস্ক, এন্টিসেপ্টিক স্প্রে, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ভেজা ওয়াইপ সরবরাহ।
১৯। মাস্টার ক্লাস সঞ্চালন
২০। ট্যুরিষ্ট তথ্য সম্বলিত ব্রোশিওর ও মানচিত্র
২১। প্রযোজ্য দেশের জন্য আমন্ত্রণ পত্র
২২। উজবেকিস্তান থেকে ফেরার আগের কোভিড টেস্ট
২৩। বিশ্ব সূফী কেন্দ্র (World Sufi Centre-WSC) আন্তর্জাতিক মার্কেটিং এর জন্য একজন এজেন্ট নিয়োগ করবে
২৪। সকল প্রযোজ্য কর
ট্যুরে যে সেবাসমূহ পাওয়া যাবে নাঃ
১। হোটেলে বাড়তি সুবিধাদির জন্য চার্জ
২। ব্যক্তিগত বীমা
৩। আন্তর্জাতিক বিমান টিকেট
৪। বখশিশ ও অনুদান
৫। যে কোন সেবা যা উপরের তালিকায় নেই
৬। যাঁদের ১ম দিন দুপুরের আগে বা ৭ম দিন দুপুরের পরে থাকা দরকার, তাঁরা নিজ দায়িত্তে ব্যবস্থা করে নিতে পারেন অথবা আমরাও সহায়তা করতে পারি। আমরা রাত কাটানোর জন্য ছাত্রাবাসেও ব্যবস্থা করতে পারি।
৭। উপরোল্লিখিত খরচ ইউ এস ডলার ৬৯০.০০ এর মধ্যে উজবেকিস্তান পর্যন্ত এবং থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, ভিসা ফি, অতিরিক্ত লাগেজ, স্যুভেনির ও দানসমূহ।
ক। ট্যুর শুরুর আগে এক রাতের হোটেল ভাড়া
*** হোটেল ইউ এস ডলার ৬০.০০ (প্রতিজন)
**** হোটেল ইউ এস ডলার ৯০.০০ (প্রতিজন)
অনুগ্রহ করে আপনার তথ্যসমূহ প্রদান পূর্বক নিবন্ধন করুন
১। সম্পূর্ণ নাম
২। দেশ
৩। বয়স
৪। লিঙ্গ
৫। হোয়াটসআপ / ইমেইল
পাঠানোর নম্বরঃ
whatsup : 01713 066646
email : kabirsmh@gmail.com
0 Comments